একটি জাতির ঘুম ভাঙার গল্প (পরিচয়)
এই আন্দোলনের সূচনা হয় মূলত ২০২৪ সালের ৫ জুন, হাইকোর্টের এক রায়ের মাধ্যমে; যেখানে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে সরকারি চাকরিতে কোটা আবার কার্যকর হয়, যা মেধাবী তরুণদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করে। এই রায় ছিল বহুদিনের জমে থাকা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটানোর ট্রিগার; যার ভেতরে ছিল—একনায়কতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা হরণ, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং বেকারত্বের ভয়াবহ চিত্র। এইসব অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্র ও তরুণ প্রজন্ম রাজপথে নামে। ২৪ জুলাই, হাজারো মানুষ রাস্তায় নামে। তাদের কণ্ঠে ছিল একটাই স্লোগান 👉 “এই দেশ কার? আমার! আমাদের!” সরকার এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জবাবে চালায় দমন-পীড়ন। মাদারীপুরসহ বহু জায়গায় মিছিলে গুলি, টিয়ারশেল, গ্রেফতার ও গুমের ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা যায়। মিডিয়া ও ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে সত্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জনতার কণ্ঠ রোধ করা যায়নি। ৫ আগস্ট ২০২৪, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যান এবং পরে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন। এই অভ্যুত্থান ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে অধিকার ছিনিয়ে আনার এক রক্তাক্ত প্রতিরোধ—যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অমোচনীয় স্বাক্ষর হয়ে থাকবে।
প্রতিরোধের পরিণতি (২০২৪)
জুলাই শহীদদের নামাবলি।
															শহীদ দীপ্ত দে
জন্ম : ১৯ আগস্ট ২০০৩
শহীদঃ ১৮জুলাই ২০২৪ ইং
															শহীদ রোমান বেপারী
জন্ম : ১৯ আগস্ট ২০০৩
শহীদঃ ১৮জুলাই ২০২৪ ইং
															শহীদ তাওহিদ সন্যমাত
জন্ম : ১৯ আগস্ট ২০০৩
শহীদঃ ১৮জুলাই ২০২৪ ইং
															শহীদ মনিরুজ্জামান মোল্লা
জন্ম : ১৯ আগস্ট ২০০৩
শহীদঃ ১৮জুলাই ২০২৪ ইং